Messi: লিওনেল মেসি, আর্জেন্টিনার ফুটবল সুপারস্টার, যে বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত, তার ক্যারিয়ারে একাধিক রেকর্ড, অর্জন এবং সাফল্য রয়েছে। ২০১৯ সাল ছিল মেসির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য বছর, যেখানে তিনি ফুটবল ক্যারিয়ার ছাড়াও নানা ব্যবসায়িক ও স্পন্সরশিপ চুক্তির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ আয় করেছিলেন। তার নেট ওয়ার্থ শুধু ফুটবল খেলার মাধ্যমে নয়, বরং তার মার্কেটিং স্ট্রাটেজি, ব্র্যান্ড ডিল এবং ব্যবসায়িক উদ্যোগের মাধ্যমেও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল।

Messi: এই নিবন্ধে আমরা ২০১৯ সালে মেসির নেট ওয়ার্থের একটি বিশদ বিশ্লেষণ করব, যেখানে আমরা তার আয়ের উৎস, স্পন্সরশিপ চুক্তি, ব্যবসায়িক উদ্যোগ এবং তার অন্যান্য আর্থিক দিক নিয়ে আলোচনা করব।
১. Messi: মেসির ফুটবল চুক্তি

Messi: ২০১৯ সালে, মেসির বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। ২০১৭ সালে তার চুক্তির পুনর্নবীকরণ এবং সেই চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২১ সাল পর্যন্ত। ২০১৯ সালে তার চুক্তি থেকে বছরে প্রায় $৫০ মিলিয়ন আয়ের সুযোগ ছিল, যা তাকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ফুটবল খেলোয়াড়দের মধ্যে একটি স্থান করে দেয়।

Messi: মেসির বার্ষিক বেতন এবং পারফরম্যান্স বোনাস তার আয়ের প্রধান উৎস ছিল। ২০১৯ সালে তার চুক্তি অনুযায়ী, বার্সেলোনার সাথে তার বার্ষিক বেতন ছিল প্রায় $৪০ মিলিয়ন। তার পারফরম্যান্স বোনাসও ছিল খুবই উল্লেখযোগ্য, যা তার মোট আয়কে আরও বাড়িয়ে দেয়।
মেসির ফুটবল চুক্তি বিশ্লেষণ:
চুক্তির উপাদান | পরিমাণ ($) |
---|---|
বার্ষিক বেতন | ৪০ মিলিয়ন |
পারফরম্যান্স বোনাস | ১০ মিলিয়ন |
চুক্তির মোট পরিমাণ | ৫০ মিলিয়ন |
২. স্পন্সরশিপ চুক্তি

Messi: ২০১৯ সালে মেসির স্পন্সরশিপ চুক্তি ছিল তার আয়ের আরেকটি বড় উৎস। তিনি বিশ্বমানের ব্র্যান্ডগুলোর সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন, যার মধ্যে অ্যাডিডাস, পেপসি, গিলেট, হুয়াওয়ে, রেড বুল, স্টারবক্স, কোকা-কোলা, এবং আরও অনেক ব্র্যান্ড অন্তর্ভুক্ত ছিল। তার ব্র্যান্ডিং এবং স্পন্সরশিপ চুক্তি তাকে বছরে কয়েক মিলিয়ন ডলার উপার্জন করতে সাহায্য করেছিল।

২০১৯ সালে মেসির স্পন্সরশিপ আয়ের পরিমাণ প্রায় $৩৫ মিলিয়ন ছিল। তার স্পন্সরশিপের মধ্যে প্রধানভাবে অ্যাডিডাস, পেপসি, এবং গিলেটের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি ছিল, যা তাকে স্টাইল, স্পোর্টস গিয়ার এবং অন্যান্য পণ্য প্রচারে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আয় প্রদান করেছিল।
মেসির স্পন্সরশিপ আয়ের বিশ্লেষণ:
ব্র্যান্ড | আয় ($) |
---|---|
অ্যাডিডাস | ১৫ মিলিয়ন |
পেপসি | ৬ মিলিয়ন |
গিলেট | ৪ মিলিয়ন |
হুয়াওয়ে | ৩ মিলিয়ন |
কোকা-কোলা | ৩ মিলিয়ন |
স্টারবক্স | ২ মিলিয়ন |
৩. ব্যবসায়িক উদ্যোগ

মেসি শুধু ফুটবল খেলে আয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি, তিনি তার ব্যবসায়িক উদ্যোগেও সাফল্য অর্জন করেছেন। ২০১৯ সালে, মেসি তার Messi Management নামক একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন, যা তাকে তার ফুটবল ক্যারিয়ার ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসায়িক উদ্যোগ পরিচালনা করতে সাহায্য করেছে।
তাছাড়া, মেসি তার রেস্তোরাঁ “Messi’s” এবং বিভিন্ন হোটেল প্রকল্পের মাধ্যমে আয় বাড়িয়েছেন। তার বিনিয়োগের মধ্যে একটি বৃহৎ অংশ ছিল প্রপার্টি ও হোটেল খাতে, যা তাকে আরও অনেক নতুন আয় উৎস দিয়েছে। ২০১৯ সালে, তার ব্যবসায়িক আয় প্রায় $১২ মিলিয়ন ছিল।
মেসির ব্যবসায়িক আয় বিশ্লেষণ:
ব্যবসা | আয় ($) |
---|---|
রেস্তোরাঁ | ৪ মিলিয়ন |
হোটেল | ৫ মিলিয়ন |
প্রপার্টি | ৩ মিলিয়ন |
৪. মেসির নেট ওয়ার্থ

২০১৯ সালের শেষে, মেসির মোট নেট ওয়ার্থ ছিল প্রায় $৪৫০ মিলিয়ন। এটি তার ফুটবল চুক্তি, স্পন্সরশিপ চুক্তি, ব্যবসায়িক উদ্যোগ এবং অন্যান্য আয়ের উৎসের সমন্বয়ে অর্জিত। মেসি তার জীবনের অনেক বড় অংশই দান করেন এবং তার ফাউন্ডেশন Leo Messi Foundation এর মাধ্যমে তিনি নানা দাতব্য কাজ করেন, যা তার সামাজিক মর্যাদা আরও বাড়িয়েছে।
মেসির নেট ওয়ার্থ বিশ্লেষণ:
আয় উৎস | পরিমাণ ($) |
---|---|
ফুটবল চুক্তি | ৫০ মিলিয়ন |
স্পন্সরশিপ | ৩৫ মিলিয়ন |
ব্যবসায়িক উদ্যোগ | ১২ মিলিয়ন |
মোট নেট ওয়ার্থ | ৪৫০ মিলিয়ন |
৫. দাতব্য কাজ

মেসি শুধু তার ক্যারিয়ার বা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেননি, তিনি একটি দাতব্য উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজের জন্যও অনেক কিছু করেছেন। তার Leo Messi Foundation শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ব্যাপকভাবে সাহায্য প্রদান করে থাকে। মেসি তার আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দান করেন, যা তাকে শুধুমাত্র একটি শীর্ষস্থানীয় অ্যাথলেট হিসেবে নয়, একজন সমাজসেবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
৬. মেসির প্রতিযোগিতা

২০১৯ সালে মেসির নেট ওয়ার্থ ছিল অনেক বড়, তবে তার প্রধান প্রতিযোগী, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ছিল তার থেকে কিছুটা পিছিয়ে। রোনালদোর ২০১৯ সালের নেট ওয়ার্থ ছিল প্রায় $৪২০ মিলিয়ন। মেসি তার চেয়ে কিছুটা এগিয়ে ছিলেন, তার স্পন্সরশিপ চুক্তি, ফুটবল চুক্তি এবং ব্যবসায়িক উদ্যোগের মাধ্যমে।
৭. মেসির ভবিষ্যৎ
মেসির ২০১৯ সালের নেট ওয়ার্থ প্রমাণ করে যে তার কেবল ফুটবল খেলা নয়, তার ব্যবসায়িক বুদ্ধি, ব্র্যান্ডিং এবং স্পন্সরশিপ চুক্তি তাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ভবিষ্যতে, তার নেট ওয়ার্থ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, কারণ মেসি এখনও ফুটবল খেলছেন এবং তার বিভিন্ন ব্যবসায়িক উদ্যোগের মাধ্যমে আয় করতে সক্ষম হচ্ছেন।

বিশ্বের অন্যতম বড় ফুটবল তারকা হিসেবে, মেসি তার খেলার দক্ষতার পাশাপাশি ব্যবসায়িক দিক থেকেও অত্যন্ত সফল। তার ব্র্যান্ড মূল্য এবং জনপ্রিয়তা তাকে আরও অনেক নতুন সুযোগ এনে দেবে, যা তার ভবিষ্যতের নেট ওয়ার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মেসির ২০১৯ সালের নেট ওয়ার্থ তার ফুটবল ক্যারিয়ার, স্পন্সরশিপ চুক্তি, এবং ব্যবসায়িক উদ্যোগের মাধ্যমে অর্জিত একটি বিশাল পরিমাণ অর্থ। মেসির আয়ের উৎসগুলো একদিকে যেমন তাকে একজন সফল ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, তেমনি অন্যদিকে তার ব্যবসায়িক বুদ্ধি তাকে ধনী অ্যাথলেট হিসেবে পরিচিত করেছে। 201৯ সালে তার আয়ের ধারাবাহিকতা এবং উন্নতি নিশ্চিত করেছে যে মেসি আগামী বছরগুলোতে আরও বড় সাফল্য অর্জন করবেন।